ভারতীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০২৫ সালের মে মাসে দেশের প্রথম না মো হাইড্রোজেন-পরিচালিত ট্রেনটি চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা দেশের সবুজ পরিবহন খন্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি নির্দেশ করে। ১,২০০ হর্সপাওয়ারের একটি হাইড্রোজেন ইঞ্জিন দ্বারা সজ্জিত—এটি অন্যান্য আন্তর্জাতিক মডেল (সাধারণত ৬০০–৮০০ হর্সপাওয়ার) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী—ট্রেনটি 'বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন ট্রেন' শিরোনাম অর্জন করেছে। একটি আদিম ভারতীয় দল দ্বারা বিকাশিত, ইঞ্জিনটি দেশের রেলওয়ে প্রযুক্তি R&D-এর শক্তিশালী ক্ষমতা প্রদর্শন করে এবং উন্নত রেল সরঞ্জাম এক্সপোর্ট করার ভিত্তি স্থাপন করে।
শুধুমাত্র জলবাষ্প ছাড়া, হাইড্রোজেন ট্রেনটি ২০৭০ সালে শূন্য কার্বন উত্সর্জন অর্জনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নarendra মোদীর দৃষ্টিকোণে মিলে, এটি ঐতিহ্যবাহী ডিজেল লোকোমোটিভের একটি শোধিত বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ভারতের ফেডারেল মন্ত্রী অশ্বিনি বৈশ্নব বলেছেন যে, এই প্রচেষ্টাটি ভারতকে রেলওয়ে সরঞ্জাম নির্মাণ এবং নিবেশের বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য স্থান দেওয়ার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে, যা ইলেকট্রনিক্স, যোগাযোগ এবং রক্ষণশীল খন্ডে তার সফলতার প্রতিবিম্ব। বর্তমানে, ভারত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বাস্তবায়ন আপডেট এবং প্রতিভা উন্নয়নের মাধ্যমে তার রেলওয়ে শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলকতা বাড়ানোর দিকে গতিপ্রাপ্ত করছে।
বিশেষ করে, ভারত উচ্চ-শক্তি লোকোমোটিভ গবেষণা এবং উন্নয়নেও অগ্রসর হচ্ছে, যেমন গুজরাটের দাহোদে 9,000 ঘোড়া শক্তির ইন্টেলিজেন্ট লোকোমোটিভ, যা ডেটা প্রসেসিং ক্ষমতা একত্রিত করেছে এবং একটি "মোবাইল ডেটা সেন্টার" হিসেবে পরিচিত। এই প্রচেষ্টাগুলো শুধুমাত্র ভারতের সবুজ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে না, বরং বিশ্বজুড়ে স্থায়ী পরিবহনের জন্য একটি তুলনামূলক মডেল প্রদান করে, যা পরিবেশীয় সুরক্ষা এবং প্রযুক্তি দক্ষতার দুটি মানদণ্ড স্থাপনে সাহায্য করে।